মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

মেজর সিনহাকে হত্যার কথা স্বীকার করলেন লিয়াকত

মেজর সিনহাকে হত্যার কথা স্বীকার করলেন লিয়াকত

0 Shares

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতের খাস কামরায় জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সিনহা হত্যা মামলার মূল আসামি র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের অনেক কিছু স্বীকার করেছেন। একারণে তাকে আদালতে আনা হয়েছে। আমি আশাকরি আসামী লিয়াকত সব সত্যগুলো আদালতের কাছেও স্বীকার করবে।’
তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি।
এর আগে রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর লিয়াকত আলীকে সরাসরি আদালতে নিয়ে আসে র‌্যাবের একটি দল।

গত শুক্রবার ওই মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফায় তিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন লিয়াকত।

মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ সাত পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সাত দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরও সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল র‌্যাব। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চার দিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরও চার দিনের আবেদন করা হলে গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি দেন। যার কারণে এ তিন পুলিশ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap